Al Jahangir brigade

From WikiAlpha
Jump to: navigation, search
Al Jahangir brigade
لواء الجهانجير
InShot 20240122 214654449~2.jpg

____________Islamic state of Bangladesh____________

InShot 20240122 210305151~2.jpg
Al jahangir brigade Logo the flag
Active January 2013
December 2022
Country Bangladesh
Allegiance *Harkat-ul-Jihad-al-Islami Bangladesh Hamas Islamic jihad Iran Pakistan Myanmar Al Qasim brigade
  • Bangladesh has recognized it as a terrorist group
  • Red line Bangladesh
Type the terrorist group
Role islamic state Bangladesh
Size 22,000
Part of আল জিহাদ ব্রিগেড
Garrison/HQ Other
Colors Black, red
Engagements Islamic movement Bangladesh military
Commanders
Commander-in Chief Mohamed al-Menfi
Supreme leader Anas Islam

আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড: বাংলাদেশে অবস্থান এবং কার্যকলাপ পরিচিতি আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড একটি উগ্রপন্থী ইসলামিক সংগঠন যা বাংলাদেশে "বাংলাদেশ ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্ট" (BIRM) নামে পরিচিত। এই সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন আনাস ইসলাম, যিনি সুপ্রিম লিডার হিসেবে পরিচিত। আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেডের মূল লক্ষ্য হলো শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র গঠন এবং এই উদ্দেশ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করা।

প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড প্রতিষ্ঠিত হয় 2010-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন বাংলাদেশের কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যের উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। আনাস ইসলাম, যিনি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা, তিনি এর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এবং সংগঠনটির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

বাংলাদেশে কার্যকলাপ বাংলাদেশে আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড বা BIRM-এর কার্যকলাপ বিভিন্ন রকমের এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মূল কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:

নতুন সদস্য সংগ্রহ: দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণদের উগ্রপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত করে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত মাদ্রাসা এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা এবং কর্মশালার মাধ্যমে তরুণদের সংগঠনের সাথে যুক্ত করে।

সশস্ত্র প্রশিক্ষণ: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোতে সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার এবং গেরিলা যুদ্ধের কৌশল শেখানো হয়। চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল, সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো বিশেষভাবে সক্রিয়।

প্রচার কার্যক্রম: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যমের মাধ্যমে উগ্রপন্থী মতাদর্শ প্রচার করা। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা হয় এবং তাদেরকে সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে পরিচিত করা হয়। তারা প্রচারমূলক ভিডিও, লিফলেট এবং অনলাইন পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেয়।

সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনা: দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনে তা বাস্তবায়ন করা। এই হামলাগুলো সাধারণত সরকারী ভবন, সামরিক স্থাপনা এবং বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করা এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা।

আনাস ইসলামের নেতৃত্ব আনাস ইসলাম, যিনি বর্তমানে আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেডের সুপ্রিম লিডার, তিনি বাংলাদেশের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁর নেতৃত্বে BIRM বিভিন্ন ধরনের সশস্ত্র এবং প্রচারমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। আনাস ইসলাম তরুণদের উগ্রপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত করতে এবং তাদেরকে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

লোকেশন বাংলাদেশে আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড বা BIRM-এর কার্যকলাপ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তৃত। চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল, সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল তাদের প্রধান কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। এই এলাকাগুলোতে তারা প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করে এবং নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড এবং এর বাংলাদেশি শাখা BIRM-এর কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এদের কার্যকলাপ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপসংহার আল জাহাঙ্গীর ব্রিগেড এবং এর বাংলাদেশি শাখা BIRM বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আনাস ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এই সংগঠনটি দেশের তরুণদের উগ্রপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত করে সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত করছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য বিপজ্জনক। এই সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ বন্ধ করতে সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।